Hacking শেখার ৮টি টিপস। ভাল হ্যাকার হতে হলে অবশ্যই জানা দরকার।





হ্যাকিং শেখার ৮টি টিপস। ভাল হ্যাকার হতে হলে অবশ্যই জানা দরকার।
হ্যাকিং শেখার ৮টি টিপস। ভাল হ্যাকার হতে হলে অবশ্যই জানা দরকার।

হ্যাকিং শেখার ৮টি টিপস। ভাল হ্যাকার হতে হলে অবশ্যই জানা দরকার।


আজকে আমি ইথিক্যাল হ্যাকিং বিষয়ে কথা বলব। এই ইথিক্যাল হ্যাকিং বলতে আসলে ছোট কোন বিষয়কে বুঝানো হয় না‌। অনেক ফিল্ড আসলে অনেক বড় এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই করা সম্ভব। কিন্তু আমাদের ইথিক্যাল হ্যাকার হতে হলে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হবে। এর ভিতরে আটটি বিষয় শেয়ার করবো আরও অনেক কিছু আছে যা আপনাদের জানা দরকার।


১. কম্পিউটারের বেসিক জানা

কম্পিউটারে বেসিক জানা বলতে গান বাজনা আর গেমস খেলতে পারে না। এটা কিন্তু কম্পিউটারের বেসিক জানা বলেনা। এটাকে আপনি বলতে পারেন কম্পিউটার অপারেটর করা। এখন আপনি যদি একজন এক্সপার্ট হ্যাকার হতে চান তাহলে কম্পিউটার কে বুঝতে হবে। আর এ কম্পিউটার সম্পর্কে বুঝলে যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। এজন্য আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। কম্পিউটারের বেসিক বলতে আপনি জিজ্ঞেস করতে পারে কম্পিউটারের বেসিক জিনিসটা কি? কম্পিউটারের বেসিক বলতে আপনাকে জানতে হবে। বায়ো সেটআপ কি, বট নেট কি, ভার্চুয়ালাইজেশন কি, আসলে  এইসব বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। এছাড়াও আপনাকে ইউএসবি বুটেবল করা, কিভাবে বায়ো সেটআপে যেতে হবে তা জানা, বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা ইত্যাদি এগুলো কে আপনি কম্পিউটারের বেসিক বলতে পারেন। এগুলো অবশ্যই আপনার  জানা থাকতে হবে।


২. নেটওয়ার্কিং: 

নেটওয়ার্কিং নিয়ে অবশ্যই আপনার বাস্তব জ্ঞান থাকতে হবে, যেমন: আইপি অ্যাড্রেস কি? এগুলো কিভাবে কাজ করে। তারপর বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক প্রটোলজি এগুলো কিভাবে কাজ করে । যেমন: ওয়াইফাই এগুলো ত্রুটি কি? কিভাবে সমাধান করা যায় এসব বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। তাছাড়া ওয়েবসাইট, ডিএনএস, ডোমেইন-হোষ্টিং, এইসব বিষয়ে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে।তা না হলে আপনি যেকোনো সময় বিপদে পড়তে পারেন।


৩. অপারেটিং সিস্টেম:

অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে আপনার অবশ্যই গভীর জ্ঞান থাকতে হবে আপনি যে অপারেটিং সিস্টেম ভালোভাবে পারবেন সহজে কিন্তু সেই অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটি বের করতে পারবেন। অপারেটিং সিস্টেমের দুর্বলতা বের করে সহজেই কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। অপারেটিং সিস্টেম বলতে শুধু উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে জানলে হবে না।আপনাকে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যবহার জানতে হবে। যেমন উইন্ডোজ, অ্যানড্রয়েড,লিনাক্স, ডস এইসব বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আছে। তাই এগুলো ব্যবহার আপনাকে শিখে নিতে হবে। আমরা কিন্তু বাংলাদেশের সবাই অ্যান্ড্রয়েড এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকি কিন্তু সবসময় গ্যারান্টি না যে ভিকটিম অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করবে সে আইওএস এবং লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে। আপনি যদি নিজেকে একজন হ্যাকার হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই এইসব অপারেটিং সিস্টেমের উপর নলেজ রাখতে হবে। আমি পার্সোনালি রিকুমেন্ট করব লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে। লিনাক্স এর মধ্যে আপনি বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম পেয়ে যাবেন যেমন রেডহ্যাট, লিনাক্স ইত্যাদি।আপনি যদি আমাকে বলেন কোন একটি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করুন তাহলে আমি পার্সোনালি রিকমেন্ট করব কালি লিনাক্স ব্যবহার করতে। কারণ এটি হ্যাকারদের জন্য কমপ্লিট একটি অপারেটিং সিস্টেম। তাছাড়া আপনি উইন্ডোজ এর বিভিন্ন ধরনের পুরাতন ভার্সন সহ অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম এর পুরাতন ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন। কারণ অনেক সময় ভিকটিম পুরাতন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে। তাই ওল্ড অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করার মাধ্যমে আপনি যে কোন ধরনের ত্রুটি আছে কি না এবং এর মাধ্যমে ভিকটিমের সিস্টেমে এক্সেস পারেন কিনা সেজন্য পুরাতন অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ করে দেখতে পারেন।


৪. প্রোগামিং:

আপনি যদি একজন প্রফেশনাল হ্যাকার হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এক্সপার্ট লেভেলের প্রোগ্রামিং জানতে হবে। আপনি যদি প্রোগ্রামিং না পারেন তাহলে হ্যাকারের বদলি হয়ে যাবে স্ক্রিপ্টকিডস।  স্ক্রিপ্টকিডস ওই ধরনের ব্যক্তিদের বলা হয় যারা নিজে প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোন টুলস সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে না। অন্যের ব্যবহার করা টুলস দিয়ে হ্যাকিং করে তাদেরকে হ্যাকার বলা যায় না কাদের বলা হয় স্ক্রিপ্টকিডস। আপনি কিন্তু চাইলে প্রোগ্রামিং আজকে শিখে কালকে বানাতে পারবেন না এসব হ্যাকিং বিষয়ে টুলস বা সফটওয়্যার বানাতে হলে এক্সপার্ট লেভেলের প্রোগ্রামিং জানতে হবে।


৫. encryption & রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং:

অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের পাসওয়ার্ড এনক্রিপ্ট আমারা বিভিন্ন সময়ে নেটওয়ার্কের encryption ব্যবহার করা হয় তারপর আপনার বিভিন্ন ধরনের তথ্য সফটওয়্যার encryption করে রাখতে বেশ রক্ষিত থাকে। রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের encryption ভাঙতে পারবেন।


৬. ভার্চুয়ালাইজেশন:

আপনাকে ভিএমওয়্যার ওয়ার্কস্টেশন ভার্চুয়াল বক্স এর ব্যবহার অবশ্যই জানতে হবে। না জানলে অনেক কিছু মিস করে ফেলবেন। ভার্চুয়াল কম্পিউটার ইন্সটল করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের এট্যাক টেস্ট করে দেখতে পারেন।


৭. hacking law:

তারপর আপনাকে হ্যাকিং আইন নিয়ে ধারণা থাকতে হবে আপনি যদি না জানেন কোনটা অপরাধ কোনটা অপরাধ না। তাহলে আপনি যেকোনো সময় ফেঁসে যেতে পারেন।এর জন্য আপনার ক্যারিয়ারটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ধরুন আপনি 10 বছর ধরে হ্যাকিং শিখলেন কিন্তু হ্যাকিং লও নিয়ে কোন ধারণা নেই। এখন আপনি যদি কোন পার্টিকুলার ওয়েবসাইট হ্যাক করেন সেই অপরাধে কিন্তু আপনার জেল জরিমানা হতে পারে এবং আপনার ক্যারিয়ারটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই হ্যাকিং আইন অবশ্যই জেনে নেবেন।

৮. সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং:

সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং হ্যাকিংয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাকিং এমন কোন জিনিস নয় যে  এ থেকে জেড পর্যন্ত শিখলেই সবকিছু শিখে নিবেন।এটা কি আপনি বলতে পারেন না যে একটি কম্পিউটার কে হ্যাক করা। এটা মানুষের ব্রেন নিয়ে খেলা করা আপনি কিন্তু চাইলে কম্পিউটারকে আপডেট, আপডেট, পাসওয়ার্ড চেঞ্জ, অপারেটিং সিস্টেম চেঞ্জ করতে পারেন কিন্তু মানুষের ব্রেন কে কিভাবে আপডেট করবেন বলুন| সুতরাং আপনি যদি মানুষের ব্রেনকে আয়ত্ত করতে পারেন তাহলে আপনি সাকসেস হতে পারবেন।আসলে এই টিপসগুলো আপনাকে হ্যাকার হতে সাহায্য করবে। এখানে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো এগুলি যদি ভালোভাবে আয়ত্ত করে সৃজনশীল চিন্তার মাধ্যমে ভিন্ন ধরনের টেকনিক এবং টুলস তৈরি এবং ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ভবিষ্যতে ভাল হ্যাকার হতে পারবেন।

এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ


Post a Comment

1 Comments

  1. Brother is good at giving some video classes......piz......Brother

    ReplyDelete

please do not enter any spam link in the comment box