ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করার সেরা পাঁচটি উপায়


ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করার সেরা পাঁচটি উপায়

ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করার সেরা পাঁচটি উপায়


প্রতিদিন আমার কাছে অসংখ্য মেসেজ আসে যে কিভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা যায়। এই মেসেজটা আর কেউ নয় আপনারাই করেন। আজকে আমি আপনাদের বলব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা কি আসলে সম্ভব? যদি সম্ভব হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করার 5 টি উপায় বলবো সুতরাং এই উপায়গুলো জানতে আপনারা পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।


ফেসবুক হ্যাকিং কি আসলেই সম্ভব? বাস্তবে এটা কি করা যায়?


ফেসবুক সিকিউরিটির পিছনে অসংখ্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, প্রোগ্রামার এবং ইথিক্যাল হ্যাকাররা রয়েছে আর তারা প্রতিনিয়ত চেক করে ফেসবুকের সিকিউরিটি ঠিক আছে কিনা। তাদের ভিতর কোনো দুর্বলতা আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে তারা সমাধান করার চেষ্টা করে। যেহেতু প্রতিনিয়ত তারা সিকিউরিটি চেক করতেছে সুতরাং ফেসবুক ডাইরেক্টলি হ্যাক করার উপায় থাকে না। অনেকেই মনে করেন আমি এক ক্লিক দিয়ে যে কারো ফেসবুক হ্যাক করে ফেলব। এটা বাস্তবে সম্ভব না। সম্পূর্ণ কাল্পনিক। অনেকের মাথার ভিতরে ভুল ধারণা রয়েছে যে ফেসবুক সহজে হ্যাক করা যায় আসলে সেটা না।  যদি আপনি ফেসবুকে এক্সেস নিতে চান তাহলে আপনাকে ভিক্টিমের সম্পর্কে জানতে হবে। তারপর আপনি সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস নিতে পারবেন।


কিভাবে ফেসবুক হ্যাক করবেন?


প্রথমে তো আমি বললাম এগুলো করা এত সহজ নয় কিন্তু মুশকিল হলেও এগুলো করা যায়। বেশ কিছু টেকনিক রয়েছে। টেকনিকগুলো ব্যবহার করে এবং ভিকটিমের বিভিন্ন ইনফরমেশন সংগ্রহ করে ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা হয়ে থাকে। এরকম তো না যে ফেসবুকে 100%  সিকিউর সেটা মোটেও হতে পারে না। কারণ ফেসবুকে কোন না কোন দুর্বল থাকে এবং সেই জিনিস গুলো ব্যবহার করে ফেসবুক হ্যাক করা হয়।


ফেসবুক হ্যাকিং এর সেরা পাঁচটি উপায়।


আজকে আমি আপনাদের পাঁচটি সিস্টেম বলবো যে সিস্টেমগুলো ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাক্সেস করা হয়ে থাকে।


1. fake nid card


বিভিন্ন প্রকার ওয়েবসাইট রয়েছে যে ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করে ফেক এনআইডি কার তৈরি করা হয়। আসলে এগুলো অরিজিনাল না এগুলো অনলাইন কঁপি এটা দিয়ে কি করতে হয়? ফেইসবুক বিভিন্ন সময় ভেরিফিকেশন এর জন্য আপনার কাছে এনআইডি কার্ড চাই। উদাহরণস্বরূপ মনে করেন, আপনি ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন, আপনার ফোন নাম্বার মনে নেই। আপনাকে বলবে কি যে, ঠিক আছে, আপনাদের এনআইডি কার্ড টা আমাদের দেন। এটা দেখে আপনাদের নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে দিচ্ছি। ঠিক একই জিনিস ব্যবহার করে বিভিন্ন হ্যাকাররা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করে থাকে। তো এভাবেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করা হয়ে থাকে।


2. cookie stealing


আমরা সাধারনত কম্পিউটার দিয়ে যদি কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করি এবং সেটা দিয়ে লগইন করি। তাহলে দ্বিতীয়বার আমাদের পুনরায় লগইন করার দরকার পড়ে না। তখন আমরা এক ক্লিক করার সাথে সাথে কাঙ্খিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি। উদাহরণস্বরূপ ফেসবুকে আপনি যদি আজকে লগইন করেন তাহলে পরবর্তিতে আপনার কম্পিউটার থেকে www.facebook .com লিখলে আপনার কাছে কিন্তু আর পাসওয়ার্ড চাইবে না। সাধারণ এটাই হলো কুকি। এই কুকিটা আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে থাকে। এই সিস্টেম থেকে আপনার ব্রাউজার দেয় এবং ব্রাউজার তখন আপনার সময় বাঁচানোর জন্য ডাইরেক্ট ওয়েবসাইটে লগইন করিয়ে দেয।় তো বিভিন্ন প্রকার টেকনিক ব্যবহার করে এই কুকি চুরি করা যায।় এটাকে cookie steling বলা হয়। এর জন্য সাধারণত man in the meddle attack,ম্যালওয়্যার অ্যাটাক, অথবা spyware attack, payload attack, অ্যাটাক করে কুকি চুরি করে নেয়া হয় এবং ওই গুলো ব্যবহার করে পরবর্তীতে যার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ওইটাতে এক্সেস নিয়ে নেয়। এভাবেও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়ে থাকে।


3. spyware


স্পাইওয়্যার হলো এমন এক ধরনের সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন যেটা ভিক্টিমের কম্পিউটার অথবা মোবাইলে ইন্সটল করে দেওয়া হয়। এই জন্যে যে, সে কখন কি করতেছে? কম্পিউটার কম্পিউটারে কোন ফাইল রয়েছে। এ টু জেড সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস নেওয়া যায়। তো সাধারণ স্পাইওয়্যার  ব্যবহার করে সেইম ভাবে অথবা বিভিন্ন টেকনিক ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়ে থাকে।


4. keylogger


কী লগার ব্যবহার করেও সাধারন  ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা হয়ে থাকে। সিম্পলি যার ফেসবুক একাউন্ট তার কম্পিউটার অথবা মোবাইলে কিলগার জাতীয় সফটওয়্যার  ইন্সটল করে দেয়া অথবা কী লগার জাতীয় ডিভাইস লাগিয়ে দিয়ে আসা এবং পরবর্তীতে সে কোন কোন ইমেইল এড্রেস টাইপ করতেছে, কোন ওয়েবসাইটে যাচ্ছে এবং কি পাসওয়ার্ড দিচ্ছি। ফুল লিস্ট চলে আসে আপনার ইমেইলে অথবা আপনার ইনস্টল করা সফটওয়্যার বা লাগিয়ে দেয়া ডিভাইসে। সাধারণত কি লগার ব্যবহার করেও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়ে থাকে।


5. brute-force attack


এই attack ব্যবহার করেও ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা হয়ে থাকে। ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক এর জন্য সাধারণত ভিক্টিমের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকার ইনফরমেশন কালেক্ট করা হয় যেমন সে কি পছন্দ করে, তার জন্ম সাল কত, তার ফোন নাম্বার, তার নাম কি, বিভিন্ন ইনফরমেশন কালেক্ট করে একটা পাসওয়ার্ড এর লম্বা লিস্ট তৈরি করা হয় এবং ওই লিস্টে তার ইমেইল এড্রেস এর উপর অ্যাটাক করা হয়। অ্যাটাক করার ফলে যখন একটা পাসওয়ার্ড মিলে যায় তখন আপনার কাছে দেখাই দিবে এটা ভিকটিমের ইমেইল আর এটা ভিকটিমের পাসওয়ার্ড। এভাবেও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করা হয়।

Post a Comment

1 Comments

please do not enter any spam link in the comment box