কি লগার কি? এটি দিয়ে কি কি করা যায়? এবং কিভাবে?
আজকের টপিক কি - লগার (Keylogger)
আশাকরি আপনারা অনেকেই এটি সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত আছেন... তবে যারা এর সম্পর্কে খুব এক্টা জানেন না আজকের পোস্ট শুধুমাত্র তাদের জন্য...
কি লগার কি??? এটি দিয়ে দিয়ে কি কি করা যায়??? এবং কিভাবে???
যারা হ্যাকিং এর দুনিয়ায় আছেন তাদের জন্য প্রাথমিক টুল হচ্ছে কি - লগার ।
এখন বলি কি এই কি-লগার । কি - লগার হচ্ছে এমন একটি টুল যার মাধ্যমে আপনি
নির্দিষ্ট একটি কম্পিউটারে কি - বোর্ড দ্বারা কি টাইপ করা হচ্ছে সব কিছু একটি ফাইলে
রেকর্ড করে রাখতে পারেন ।
উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি সেই কম্পিউটারের ইউজারটি
ইয়াহু মেইলে লগইন করছে । এখন সে কি বোর্ডে তার আইডি এবং পাসওয়ার্ড টি টাইপ করল
সাথে সাথে কি - লগার টি কি টাইপ করা হয়েছে সব কিছু রেকর্ড করে ফেলবে । সাধারণত পাসওয়ার্ড
ফিল্ডে কিছু টাইপ করলে তা স্টার চিন্হ আকারে দেখায় কি কিন্তু কি - লগারের মাধ্যমে সেই স্টার চিন্হর পেছনে
কি লুকিয়ে আছে তা আপনি জানতে পারবেন । ভয়ঙ্কর তাইনা । এসব কি লগারের প্রস্তুত কারক যারা তারা এগুলোকে
তৈরী করেন অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি নজরদারী করবার নামে । এটি সত্য বটে । এটির মাধ্যমে আপনার
সন্তান নেটে বসে কি করছে , কি ছবি দেখছে , কি সাইট ভিজিট করছে , কি ছবি দেখছে , কার সাথে চ্যাটিং এ পিরিত 🙂
করছে সব জানতে পারবেন । অথচ আপনের সন্তান কিছুই জানবেনা । এই উদ্দেশ্য নিয়ে এটি তৈরী হওয়া সত্বেও
এটি কে হ্যাকিং এর জন্যই বেশীর ভাগ ব্যবহার করা হয় ।
যাক মূল কথায় আসি এখন যেই কি লগার নিয়ে আলোচনা করব তার নাম হচ্ছে Golden Eye ।
এটি এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন : এখান থেকে
এর মাধ্যমে আপনি যা যা করতে পারবেন কি-লগ , ওয়েব সাইট লগ , উইন্ডোজ টাইটেল লগ , সি্ক্রনশট ( এর মাধ্যমে
মিনিমাম 20 সেকেন্ড পরপর ডেস্কটপের সি্ক্রনশট নেবে ) যেটি নতুন হ্যাকারদের জন্য ভালো অপশন । এছাড়াও যেকোন ম্যাসেন্জারের
চ্যাটিং লগ ও রাখা যাবে ।
এ ক্ষেত্রে মূল বিষয় হচ্ছে টাইমিং টাইম এখানে ডেট আওয়ার মিনিট সেকেন্ডে টাইম দেখাবে
ওখানে তিন নম্বর কনটেন্ট হচ্ছে ডেস্কটপ সি্ক্রনশট রেকর্ড আর চার নম্বরটি হচ্ছে কিস্ট্রোক লগ
শেষ দুটোর টাইমিং দেখুন মাত্র তিন সেকেন্ডের ফারাক ঠিক এটিই বোঝাতে চাচ্ছি
ছবির টাইমের সাথে কিস্টোক এর টাইম মিলিয়ে দেখুন আসল জিনিষ পেয়ে যাবেন
এখানে দেখতে পাচ্ছেন ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড একসাতে মিলে আছে সি্ক্রনশট না থাকলে
দুটোকে আলাদা করা কষ্টকর হত এখন ছবিটি দেখে আপনিই বুঝতে পারছেন কোনটি ইউজারনেম এবং কোনটি পাসওয়ার্ড
ব্যাস কেমন লাগলো হ্যাকিং
এবার আরও কিছু বিষয় জানিয়ে রাখি প্রথমে নিজের কম্পিউটারে এটিকে ট্রাই করতে হবে একে পুরোপুরি বুঝতে হবে ।
অপশন গুলো ঘেটে দেখতে হবে । নিজের কম্পিউটারেও এটি ইনস্টল রাখতে হবে ।
অপশনের লগ ফাইল সেকশনটি গুরুত্বপূর্ন এখান থেকে লগ ফাইলগুলো কোথায় সেভ হচ্ছে জানা যাবে
সেখান থেকে পরবর্তিতে লগফাইল গুলো সরিয়ে এনে আপনার পিসির লগারের লগফাইল পাথ যেখানে
সেখানে লগগুলো পেস্ট করলে রিপোর্ট ট্যাবে রিফ্রেশ করলেই সব লগ দেখা যাবে । উপরের ছবিটির মত ।
এখানে অপশন সেকশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ , যেই পিসিতে কি - লগার সেটাপ করেছেন তার জন্য অপশনে গিয়ে
হটকি সেকশনে পছন্দ মত সর্টকাট কি দিন । একদম নিচে স্টার্ট সেকশনের সবগুলো অপশন টিকমার্ক দিয়ে দিন
ইংলিশ বুঝলে বুঝবেন ওগুলোর কি কাজ । মনিটর ট্যাবে সিলেক্ট করুর কি কি লগিং করতে চান । আর জেনারেল ট্যাবে
লেখাগুলো আগে পড়ে দেখুন তার পর লগিং এর আগে ইনভিজিবল মোড দিয়ে রাখুন । নিজ পিসিতে ট্রাই করে দেখুন আগে ।
সেখানে আপনার সিলেক্ট করা সর্টকাট টি দেখতে পাচ্ছেন ?
স্টার্ট মনিটরিং এর পর হাইড করার পর সেই শর্টকাটদিয়েই আপনি গোল্ডেনআই আবারো দেখতে পাবেন তাই সর্টকাটকি টি
আপনার মনে রাখতে হবে ।
আর শেষে বলি কিছু কিছু এন্টিভাইরাস এই লগারটিকে ডিটেক্ট করে যেমন এভিজি তাই এন্টিভাইরাস নেই এমন একটি পিসি খুজুন বা নিজের কম্পিউটারে ট্রাই করে দেখুন কোন কোন এন্টি ভাইরাস এটি কে ডিটেক্ট করে...
আশা করি আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই অনেক্টা বুঝতে পেরেছেন... এ বিষয়ে আরও কিছু জানতে বা জানাতে অবশ্যই কমেন্ট করুন... ধন্যবাদ
0 Comments
please do not enter any spam link in the comment box